শেকল
এতটা পাহাড় ভেঙে, এতটা পুড়িয়ে হলুদ পাখির পালক,
আমি আর তাকে দেখতে পারি না।
অথচ এখানে দুটি চোখে জলোচ্ছ্বাসের ব্যাকুলতা,
অথচ মাঝে কেবল একটি-দুটি ভুল!
তাকে চাইলেই ছোঁয়া যায় না!
মাঝে গোলাপ চাদর সফেদ বিছানা, মাঝে ভিন্ন নারীর কাঁকন।
মাঝে ধোঁয়ার চাঁদোয়া, বিষণ্ণতা নিয়ে উড়ে যাওয়া একটি নিঃসঙ্গ ধনেশ!
শিউলির ঘ্রাণ বুকে, কোমরে মাধবীলতা
যে রমণীর চোখে অরুণাচলের হিম বয়ে আনা ব্রহ্মপুত্র।
তার পায়ে শেকল, একশো একুশটা!
সমাজ, সভ্যতা, শুচিতা, নীতি এবং আনুগত্য।
শেকলের গায়ে সূর্যমুখী তৈল, শেকলের গায়ে প্রজন্ম!
আমি সব ভুলে যাবো। আমার কেবল মনে থাকবে পিতার কোমল রোদের মত চোখ।
আত্মজাকে বলে দেয়া সেই কথা “জানালা খুলে দিও”
আমি জানালা খুলে দেবো, রোদ দেখবো, রোদের গায়ে নীল পালক। পালকে প্রিয়তম নাম।
আমার প্রথম প্রেম! এখন যে বাসন্তী আঁচল ছাড়িয়ে জায়ায় স্বেদ খোঁজে।
অথচ আমি তাকে দিতাম শিউলির ঘ্রাণ, কোমরে বেড়ে ওঠা মাধবীলতা অথবা হাসনাহেনার সুবাসিত রাত।
তাকে চাইলেই ভালোবাসি বলা যায় না।
এখানে এখন একশো একুশটা শেকল!