তোমাকে না পাওয়ার আক্ষেপ
মায়া…
তুমি এতো দূরে কেন?
তোমাকে কোথাও কি খুজে পাবোনা?
না এ জগতে, না পরজনমে,
তোমার প্রতিক্ষায় অপেক্ষার প্রহর কাটেনা,
কেবলই শুন্য মনে হচ্ছে চারিদিক,
নিশ্চুপ নীরাবতায় আরো গাড় হচ্ছে নিঝুম আধার!
সময়ের সাথে বদলে যাচ্ছে সব,
ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে সব,
ভালোবাসা যাচ্ছে কমে,
তোমাকে ভালোবাসিনা সে একজনম হলো,
আর কতো এভাবে ভালোবাসা যায় বলো?
অথচ, একদিন তোমাকে নিয়ে কতো স্বপ্ন দেখতাম,
শীতের কুয়াশা জড়ানো রাতে অপেক্ষায় থাকতাম,
তোমার শাড়ির আচলের মায়ায় লুকাবার,
কিংবা কোন এক ভোরে তোমার শীতল –
হাতের উঞ্চ এককাপ চায়ের প্রতিক্ষায়!
কি ভীষণ অপেক্ষা, এই ভয়াবহ একাকীত্ব,
জানি একদিন সবই শেষ হবে এক মহাসমারোহে,
আমরা জনম জনমের দূরত্ব ঘুচিয়ে,
চলে আসবো হৃৎস্পন্দনের আরো কাছে,
রোজকার ভোরে তোমার শাড়ির আচলের স্পর্শে –
আমার কাচা ঘুম ভাঙ্গবে!
ঘুম জড়ানো চোখে তোমার কপাল চুমু একে,
ভালোবাসি ভালোবাসি বলে আকড়ে রাখবো শক্ত করে!
আমাদেরও সুখের দিন আসবে,
তোমার মাঝে মাঝেই অভিমান হবে –
আরো ভালোবাসা পাবার লোভে,
আমি তোমাকে ভালোবেসে দেউলিয়া হবো –
তবুও নিঃশেষ হবোনা,
আমাদের ভালোবাসা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে,
অনেকে আমাদের ভালোবাসায় হিংসায় জ্বলবে!
ফেরারি আসামির মতো এইসব কল্পনা –
আমাকে রোজ তাড়িয়ে বেড়ায়,
কেউটে সাপের বিষের দংশনে –
জ্বলেপুড়ে নীল হয়ে যায়।
ইচ্ছা করে,
এই সমাজ রীতি নীতি সব ভুলে,
আমি পাগলের মতো তোমার কাছে ছুটে যায়,
রুপকথার গল্পের মতো ডিঙ্গি ভাসিয়ে –
পৌছে যায় তোমার বারান্দায়,
তোমাকে মধুর আলিঙ্গনের বাহুপাশে বন্দী করে –
মিষ্টি ঘ্রান ছড়িয়ে দেই দক্ষিণা হাওয়ায়,
নিজেকে সমর্পন করি তোমার বুকে!
মায়া..
আমার স্বপ্ন একদিন সত্যি হবে?
তোমার শাড়ির আচল ভরে থাকবে –
শিউলি – বকুল অথবা কাঠগোলাপ!
তোমাকে ভালোবেসে আমি হবো ব্যর্থ কবি,
তুমি হবে আমার সব কবিতা…!