জান্নাতুন নুর দিশা

তুমি একবার এসো

তুমি একবার এসো, তরুণ।
এসো এই ভগ্ন বুকের চৌকাঠ ডিঙিয়ে।
তুমুল ঝড়ের মতো জবরদস্তি ঢুকে পড়ো ভীষণ ভেতরে।
জলোচ্ছ্বাসের মতো করে ডিঙিয়ে আমার সব সুরক্ষিত গাম্ভীর্য!
অনির্বাণ শিখার মতো এক চিলতে আগুন জ্বালাও,
বাম অলিন্দে রেখে দাও এক টুকরো নীলকান্ত মণি, যার নাম প্রেম।
এই মিথ্যাবাদীদের পৃথিবীতে,
এইসব লোলুপ চোখের কুৎসিত কদাকার নষ্ট হৃদয় নিয়ে তাকিয়ে থাকা বৃদ্ধদের পৃথিবীতে,
এই নেমে আসা গাঢ় সন্ধ্যার পৃথিবীতে
তুমি চিবুক অব্দি নেমে আসা মাথাভর্তি একরাশ কোমল কালো চুলের তারুণ্য নিয়ে,
এবার এসো আমার বুকের কাছে।
শোনো দীর্ঘ এক বৈরাগ্যের ধ্বনি ও প্রতিধ্বনি,
যা কেবল তোমার পথে চেয়ে থাকা আমার শুদ্ধ প্রতীক্ষার গল্প শোনাবে,
যা শোনাবে এই প্রস্ফুটিত দিনের গল্প, এই পরিণয়ের, এই নিষ্কলঙ্ক শুভ মিলনের গল্প।
কান পেতে শোনো তোমার সবটুকু মলিন প্রাচুর্যহীন সাধারণত্ব নিয়ে,
তোমার জন্য এই সুগন্ধি বাতাস বয়ে নিয়ে এসেছে একটা অবিক্রিত হৃদয়ের অমূল্য অনুরাগ।
তুমি তাকে গ্রহণ করে ভেঙে দাও এইসব নিরুত্তাপ দেয়ালদের।
পরম উষ্ণতায় আমাকে শোনাও তোমার তেজ ও মহিমার লহরী
তোমার সুডৌল পেশীর মতো কম্পমান সেতারা আমি আর কোথাও দেখি নি কখনো।
যেন তুমিই আমার চিরন্তন প্রেম ও কামের আকাঙ্ক্ষিত প্রতিমূর্তি।
যেন তোমাকে পাব বলেই একটা সুপ্ততাপ ধরে রেখেছি নিজের ভেতর।
তুমি এসো এবার, আমার অস্তিত্ব গ্রহণ করো। নিজেকে একা বয়ে চলবার ভার আমি আর নিতে পারছি না।
এবার গাঢ় আলিঙ্গনে আমাকে নির্ভার করো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *