কথোপকথন (গল্পের শেষটা যদি শুনতে)
-হ্যালো শুনতে পাচ্ছ?
কি হলো কথা বলবে না বুঝি
— ভাবছি আর অবাক হচ্ছি
আজ হঠাৎ ফোন! কি মনে করে?
স্বামীকে বোধ হয় করোনা তেমন ভয়।
— কি যে বলো হাসি পায়,
যাক চিনতে পেরেছো।
কেন এমন মনে হলো?
— এত গুলো বছর পরে আমাকে ফোন করার বিশেষ কোন কারণ দেখিনা।
কিছু বলার থাকলে বলো।
–তোমার দেয়া ধূসর রঙের ছাতাটা না এখনও আছে।
তোমার দেয়া সেই ছোট্ট কালো টিপ গুলোও আছে।
মাঝেমধ্যেই রাতে টিপ পরি।
আয়নায় দেখি।
নিজেকে নয় তোমাকে।
— কেন বলছো এসব আমাকে ?
আমি ভুলে গেছি তোমাকে।
কেন ফোন করেছো বলবে তো, নাকি?
— তোমার মাঝে মাঝে কষ্ট হয়?
তোমার কি কান্না পায়?
— নাহ ভীষণ হাসি পায়
নির্বোধদের কান্না পায়,
আমি নির্বোধ নই।
বাচ্চাদের মত কেঁদে ভাসানো তোমার স্বভাব।
—তোমার মনে আছে তাহলে?
আচ্ছা জানতে ইচ্ছে হলো,
অন্য কেউ কি মিটিয়েছে আমার অভাব?
—তুমি বহুদিন পর হাসালে আবার
পাগলের মত ভালোবাসি এই কথাটুকু শুনতেই কি ফোন দিলে__
—না মানে কি যে বলো,
আমাকে কি মনে পরে?
শুনলাম ইদানীং ছাঁইপাসে আছো ডুবে
— খোঁজ খবর রেখেছো তবে!
কী লাভ এসবে?
ফোন রাখো ভালো থেকো
বুকে ব্যথাটা বেড়ে গেলো
— শোন, শোন কেটে দিও না।
নাম্বার পেয়েছি তোমার এক বন্ধুর কাছে।
পাঁচ বছর ধরে খুঁজে চলেছি।
কত কথা জানো না তুমি!
— শুনতে চাই না।
লক্ষ্মী বউ হয়েই থেকো
পুরনো কষ্ট জেগে উঠলে বাঁচার ইচ্ছে হবে না আর
আফসোস নিয়েই তো কাটিয়ে দিলাম এত কাল
তুমি সুখি হও।
__বুঝেছি তুমি বিরক্ত!
দোয়া করি যা কিছু চাও তাই যেন পাও।
ফোন টা কেটে গেলো!
কথা থেকে গেলো __
কিছুই শুনলো না সে,
লগ্নভ্রষ্টা মেয়েটির বিয়ে ভেঙেছিল!
বিয়ের আসরে নির্লজ্জ ভাবে সে বলেছিলো,
আমার প্রেমিক আছে!
প্রেমিক জানলো প্রতারক প্রেমিকার বিয়ে হয়েছে।
জানলো না সে বিয়ে ভেঙেছে মেয়েটির
শুধু মাত্র প্রেমিক থাকার দায়ে।
গল্পের অর্ধেকটা সে জানলো;
শেষটা নিজের মত করেই সাজিয়ে নিলো।
এভাবেই তলিয়ে যায় না বলা হাজারও কথা
ভুল বুঝে মানুষটাকে করে সারাজীবন ঘৃণা
শুধু শুধু কেটে যায় একটা জীবন বৃথা।