নতুন কবিসুলতানা পারভীন সুমি

অস্বীকৃত ভালোবাসা

অস্বীকৃত ভালোবাসা – সুলতানা পারভীন সুমি

প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি ব্যতিক্রমধর্মী সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন।
যে সম্পর্কে দেখা না হওয়াই বোধ হয় ভালো।
রাতের পর রাত কথা বলা,
প্রিয় মানুষটিকে অনুভব করা
তাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা ___
তাকে ধরতে চাওয়ার আকুলতা গুলো বেশ সুন্দর হয়।
ফোনের একটা টুং শব্দে ঘুম ভেঙেই
শুরু হয় তাকে নিয়ে নানান রকম আজগুবি স্বপ্নের জাল বোনা ;
যা সত্যি না হলেও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তাকে নতুন করে কীভাবে ভালোবাসা যায় এসব চিন্তা যেন ঘুরপাক খেতেই থাকে___
কিন্তু কেমন সে?
দেখতে কেমন?
এসব প্রশ্ন আসলেও __
পরক্ষণেই মনে হয় সে যেমনই হোক সে তো আমারই।
এতে কালো,সাদা,মোটা,চিকন এসব ভাবার সময় নেই।
এখানে ভালোবাসাই মুখ্য।
ভালোবাসতে যা যা লাগে সেটাই দেয়ার চেষ্টা চলে।
তাকে ভেবেই পুরোটা সময় কাটিয়ে দেয়া যায়।
একাকীত্বের অসুখ টা আর থাকে না।
তাকে স্পর্শ করার অনুভূতি গুলো যেন চোখ বুজে নেয়া যায়।
কোন চাহিদা থাকে না
পুরোটা জুড়ে যেন স্নিগ্ধ একটা দমকা হাওয়া বয়ে যায় মনের ভেতর।
এসব সম্পর্কে নিজেকে নিয়ে ভয় থাকে না।
সে আমায় পছন্দ করবে তো? এসব প্রশ্ন এখানে একেবারেই ভিত্তিহীন।
দেখা না হওয়া সম্পর্ক গুলো হয় তো প্রেম বলে স্বীকৃতি পায় না।
তবে প্রেমের থেকেও বেশি কিছু হয়ে যায়।
কোলাহল পূর্ণ শহরে কথা শোনবার মত মানুষ কই?
কে কাকে সময় দিবে এখানে?
অথচ না দেখা হওয়া মানুষটিকে বিশ্বাসের উপর ছেড়ে দিতে হয়।
বিশ্বাস টুকু নিয়েই জীবনের উত্থান পতনের গল্প বলা যায়।
এখানে ব্যক্তিগত কথা ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
পুরো সম্পর্ক বিশ্বাসে দাঁড়িয়ে থাকে।
দেখা না হওয়ায় যে আগ্রহ টা থাকে
সেটাই যেন অন্যরকম ভালোলাগা এনে দেয়।
এ সম্পর্কে ছাড়াছাড়ি হওয়ার নেই ভয়।
এখানে নিজেকে গোপনও করতে হয় না
প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কাউকে দরকার
যার সাথে দেখা হবে না
তবে নিজেকে পড়ে ফেলার সুযোগ দেয়া যাবে।
যাকে চোখ বুজে প্রতিদিনের সুখ দুঃখ সমান ভাগে ভাগ করে দেয়া যাবে।
হট্টগোলের জীবনে এমন একজন লাগেই।
যে সম্পর্কের কোন নাম নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *