জান্নাতুন নুর দিশানতুন কবি

অভিমান জংশন থেকে

জান্নাতুন নুর দিশা

ও চলে যাচ্ছে।
ওকে যেতে দাও!
না, ও কেন যাবে?
ওর ইচ্ছে।
যেতে দেবো না।
তুমি বাধা দিলেও সে যাবে।
ও প্রবঞ্চক!
মিথ্যে! ও মহাপুরুষ!
যদি আমি যেতাম?
তুমি হতে ছলনাময়ী।
তাহলে ও কেন নয়?
কারণ ও প্রেমিক।
প্রেমিক হলে যাবে কেন?
প্রেমিকেরা যেতে পারে।
কেউ কিছু বলবে না?
না, বলবে না।
যদি আমি যেতাম?
ধিক্কার দিতো। বলতো তুমি মায়া, তুমি খল, তুমি চরিত্রহীনা।
কেন বলতো?
কারণ তুমি প্রেমিকা। প্রেমিকারা মহাপুরুষ হতে পারে না!
পুরুষ ছেড়ে গেলে তাকে মহাপুরুষ বলে।
নারী রয়ে গেলে সে মহীয়সী!
কেউ কাঁদবে না আমার ব্যথায়?
না, কাঁদবে না।
করুণ সুর বাজবে না।
না, বাজবে না। এ মঞ্চে প্রেমিকের প্রস্থানে করুণ সুর বাজে না। বাজে বিজয় ডঙ্কা!
আমি এমন মঞ্চ মানি না। এ তো রঙ্গমঞ্চ!
চুপ কর উন্মাদিনী, অবাধ্য রমণী!
চুপ করবো না!
চুপ করিয়ে দেবো।
পারবে না।
পারবো। কেউ বাধা দেবে না। ঘরে ফিরে যাও, মেয়ে।
যাবো না! ও কেন যাবে!
ওর ইচ্ছে!
ও স্বেচ্ছাচারী!
ও মহাপুরুষ!
মানি না। এ অবিচার!
তুমি কে তা ঠিক করবার? মূর্খ নারী!
আমি বাধা দেবো।
অবাধ্য হয়ো না।
তুমি কে?
আমি বোধ।
মিথ্যে! তুমি বোধ নও, তুমি প্রবোধ! আমি তোমাকে মানি না!
শাস্তি পাবে! কঠিন শাস্তি!
কত কঠিন? তাকে ছাড়া বাঁচবার চেয়েও কঠিন?
ভুলে যাও!
যাবো না!
সামনে ভয়াল পথ!
পেরিয়ে যাবো! আমি গেলাম। সরে দাঁড়াও, পথ ছাড়ো!‍

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *