মুক্তি
মুক্তি – মারুফ আহম্মেদ
রাত কেটে সকাল হলো,
দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা,
মহা জাগতিক নিয়মের জালে –
আটকে থাকা এ জীবন আর ভালো লাগেনা।
আমি মুক্তি চাই,
নিরুপায় হয়ে আটকে আছি এই ভদ্র সমাজের মাঝে,
বুকের ভেতর চাপা কান্না গুলো জোর করে আটকে রাখি,
হাসিমুখে এই অযাচিত জীবনযাপন করি।
অথচ,
আমার ইচ্ছা ছিলো নাম না জানা সেই নদীর তীরে,
পাখিদের নীড়ে ফেরা গোধূলি বেলায় বসে থাকতে,
বড্ড বুক ফাটা আর্তনাদে কাঁদতে ইচ্ছা করে,
নদীর উন্মাতাল ঢেউয়ে ভেসে গিয়ে –
অভিমানে চিরতরে হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে।
আমার আর ইচ্ছা করেনা তোমাদের মাঝে থাকি,
বড্ড ভুল বোঝো তোমরা,
এই হতভাগা ছোট্টো এ জীবনে –
তোমাদের ভালোবাসা পেয়েছিলো বলে,
আজও হেটে বেড়ায় এ শহরের বুকে।
তোমাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই এতো দূরে এসেছি,
তোমাদের মুখে বলা শব্দে ভর করে পাড়ি দিয়েছি দূরন্ত পথ,
তবুও মাঝে মাঝে ওমন শক্ত করে কথা বলো কেন?
আমার হৃদয়ের না বলা কথা কেন বোঝনা?
জানি আমার কষ্টগুলো কাউকে কোনদিন স্পর্শ করেনা,
আমার আমিকে কেউ আমার মতো বুঝেনা,
একদিন তোমাদের আগে আমি চলে যাবো,
সেদিন আমার জন্য দু’ফোটা অশ্রুজল ফেলো,
এই নাম না জানা নদীর তীরে,
এই গাছের নিচে সেদিন আমি থাকবো না, একদমই না!