নিঃশ্চিহ্ন
নিঃশ্চিহ্ন – সুলতানা পারভীন সুমি
আমি নেই জেনো।
আমার অস্তিত্ব শূণ্যে বিলীন!
আমার হাত দিয়ে যে ফুলদানী তে,
প্রত্যহ তাজা ফুলেরা সুশোভিত হতো
আজ থেকে সেসব ফুলের ছুটি।
শখের ফুলদানিটা তুলে রেখো;
অনেক বায়না করে ওই যে, খয়েরী রঙের চাদর টা কিনেছিলাম_
ওটা আলমারিতে জায়গা না হলে, ময়নার মাকেই দিও।
শোবার ঘরের ছবি গুলো চাইলেই ভেঙে ফেলতে পারো!
আমার ওতে কোন বাঁধা নিষেধ নেই,
আর থাকলেই বা কি? কেই বা শুনবে কার কথা !
করিডোরের দেয়ালে আমার আঁকা কিছু পেইন্টিং আছে,
চাইলেই নতুন করে রং করে নিতে পারো দেয়ালে!
বারান্দার গ্রিল ঘেঁষে লাগানো অর্কিডের টব টা ভেঙে ফেলোনা;
এতে আমার ঘোর আপত্তি আছে __
কোন এক গাছ প্রেমীকে সমর্পণ করো।
ছাদের এক কোণে পরে থাকা ভাঙা আয়না টা ফেলে দিতে পারো,
ভাঙা আয়নায় মুখ দেখতে নেই, চাচীরা সব বলতো হেসে;
অবাধ্যতার মাশুল বুঝি এমন হতে হবে!
উঠোন পেড়িয়ে শিউলি তলার টঙটা আমায়, হন্যে হয়ে খুঁজবে!
চুল এলিয়ে ভরদুপুরে, ওদের গপ্পোই বা কে বলবে?
টঙয়ের চারিধার বাটালি দিয়ে না হয় এক চোটে, খন্ড বিখন্ডই করলে!
এমন কাঠের খড়িতে, থেকে থেকেই অনল উঠবে জ্বলে
পুড়িয়ে দিবে গল্পেদের, ভাত রাধার ছলে।