কেবল তুমি
কেবল তুমি – জান্নাতুন নুর দিশা
আমি উত্তাল সমুদ্রের মত ভেঙে ফেলতে চাই সমস্ত শৃঙ্খল।
অথচ তুমি!
সৌম্য সুশান্ত তুমি আমার দিকে তাকিয়ে প্রশান্তির হাসি হাসো।
তোমার হাসিতে বিদ্রূপ নেই, আছে প্রচণ্ড মমতা।
কি প্রচণ্ড যত্নে তুমি আমাকে আগলে রাখো!
আমি প্রতিদিন বিকশিত হই, আমি আকাশ ছুঁয়ে দিতে দিতে হঠাৎ দেখি
তুমিই আমার আদি এবং একমাত্র আকাশ!
আমি বারেবারে তোমাতেই এসে শেষ হই।
আমি সেই ছুটে চলা রেল,
যার সর্বশেষ গন্তব্য কেবল তুমিই!
আমায় ছুটতে দিয়ে তুমি স্থির তাকিয়ে থাকো!
আমি বৃত্তের মত তোমাকে ঘিরে ঘুরতে থাকি।
পৃথিবীকে প্রেমহীন ভাবতে ভাবতে প্রেমই আমার পৃথিবী হয়ে গেছে।
পুরুষকে প্রবঞ্চক ভাবতে গিয়ে আমি দেখেছি তুমি কেবল প্রেমিকই!
তোমাকে স্পর্শ করবো বলে আমি ফেলে রেখে আসি আমার সমস্ত আদিম অহম,
তোমার চিবুকে চাষ করি পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট সুভাসের।
আমি বিদ্রোহী বিনাশী হতে গিয়ে বারেবারে নারী হয়ে যাই,
আগুন নিভে ঝর্ণা নামে বুকের খাঁচায়, চোখের তারায়।
শুধু তোমার জন্য আমি প্রেমিকা হয়ে যাই।
আমি শেষতক ফুরিয়ে যাই তোমাতে এসে,
আমার বিনির্মাণ হয় তোমার বুকে,
আমি মহাকালের চক্র ঘুরেও
কেবল ফিরে আসি তোমার কাছে।