পবিত্র অন্ধকার
পবিত্র অন্ধকার – জান্নাতুন নুর দিশা
ক্ষয়িষ্ণু শব্দের মতো গতায়ু হচ্ছি।
মরে যাচ্ছি শ্যাওলার মতো স্যাঁতসেঁতে কাদায় জমে।
যেন আমার বোধ রাজধানীর বুকে বেড়ে ওঠা মূল্যহীন বস্তিঘর,
যার ইচ্ছে লাগিয়ে দিচ্ছে আগুন।
এক অপ্রসিদ্ধ শীতের দাপটে খানখান হয়ে যায় অভ্যন্তরীণ উষ্ণ শহর।
মহল্লার খোলা গলি হয়ে গেছে ফুসফুস, শাঁই শাঁই করে হাওয়া ঢুকছে।
যদি না ধরো বাড়িয়ে ঐ দৈবহাত , ভূতলশায়ী হবো।
কোলাহল বিহ্বল, বিদগ্ধ জোছনায়, নামে মানুষের ঢল,
ঘরে ফেরে না মাংসাশী নমস্য,
বঞ্চনা জেগে ওঠে সতী নারীর ঝালরে ঝালরে!
বিক্রিত নারীর দরজায় দাঁড়ায় বিকৃত পুরুষ,
পতিত আঁধার নামে।
নির্জলা রাত কেনে গেরস্তি বধূ শুদ্ধতার দামে।
তাতে কিছু এসে যায় না। অলীক কামনায় চোখ খুললেই দেখা মেলে –
সুতনু মর্দানি রোমশ বুকের নিচে দান্তের নরকসম স্তরীভূত লেলিহান লোভ শুধু।
ছোঁয়া যায় না আর, সুতীব্র ভয়ে আত্মার নীরব চিৎকার কান পেতে শুনি।
চোখের সামনে মেলে ধরি গ্রাম্যপথ, সেখানে পাপমোচনের তোয়ালে হাতে দাঁড়িয়ে থাকে অন্নপূর্ণা ভূমি।
শুক্লপক্ষের রাতে একা হেঁটে যায় আল-ঘাট পেরিয়ে ক্লান্ত হৃদয়। আর পারে না।
আলোর জঞ্জালকণা সরিয়ে আর একবার দেখা দিক পবিত্র অন্ধকার!