যদি কখনও
শোন, ত্রিশ বছর সংসার করার পর,
যদি! হুট করে আমাদের মনে হয়?
যে আমরা আর আগের মত নেই
ভালোবাসাটা এখন সন্তান কেন্দ্রিক
কিংবা, সমাজের চার পাঁচটা দম্পতি যেভাবে থাকে
আমরাও সেভাবে থেকে যাচ্ছি।
তাহলে, দুজনে মিলে আলাপচারিতায় বসবো
দিন তারিখ ঠিক করবো।
আমাদের অনেক দিনের প্রতীক্ষার পর
যেই জায়গাটিতে প্রথম দেখা হয়েছিল!
সকল ব্যস্ততা কাজকে ছুটি দিয়ে,
সেই জায়গাটিতে দুজনে চলে যাব।
তবে আমাদের যাতায়াত মাধ্যম হবে আলাদা
তুমি তোমার মত করে যাবে,
আমি আমার মত করে।
এই সাময়িক আলাদা হয়ে যাওয়ার
মাঝখানে থাকবে “অপেক্ষা” নামক শব্দটি।
আর সেই দীর্ঘ সাত বছরের প্রেমে ঘটে যাওয়া
হাজারো স্মৃতি না হয় কল্পনাতে থাকবে!
তুমি লাল রঙের পাঞ্জাবিতে এসো,
আমি না হয় বাসন্তী শাড়িতে সাজবো।
তারপর! তারপর যখন দেখা হয়ে যাবে আমাদের
তুমি না হয় অপলকে তাকিয়ে থেকো।
আমি পুরো চোখে মুখে লজ্জা নিয়ে রবো।
দুজনে কিছুক্ষণের জন্য ষোল সতেরো বছরের
প্রেমিক প্রেমিকা হলাম ক্ষতি কি?
ঝুলে যাওয়া চামড়ার ভাঁজে কি ভালোবাসা আসে না
নাকি! ঝুলে যাওয়া চামড়ার হাতে হাত রাখা যায় না,
কোনটা?
আসলে কোন টাই না।
কারন,ভালোবাসা শুধু ভালোবাসার মানুষটির জন্য,
যেখানে থাকে না কোন বাহ্যিক সৌন্দর্য।
জায়গাটি হয় তো আর আগের মত নেই!
হয়তো সেটি জীর্ণ শীর্ণ হয়ে গেছে
নয়তো সেখানে নতুনত্যের ছোঁয়া লেগেছে।
দেখা হওয়া মাত্র সবুজ ঘাসে বসবো দুজন
হাতে হাত রেখে চোখ বুজবো কিছুক্ষণ।
ফিরে যাব আগের সেই সাত বছরের প্রেমে
কোথায় কোথায় খাঁদ পড়েছে?
সেসব হিসেব নিকেশ কষবো দুজন
বেলাশেষে, বলবে কি শুনি?
আমরা ভালোবাসার কাছে বড্ড ঋণী?
আর তাই হয়তো!
কেউ কাউকে আজও ছাড়তে পারিনি।