নারীর জন্য পংক্তিমালা (১)
নারীর জন্য পংক্তিমালা (১) – মাহ্ফুজ রাজন
একটি নারী –
হতে পারে সে স্মৃতিকণা, সীমা
জোস্না অথবা অরুণিমা,
কীইবা যায় আসে তাতে,
নারী সে, কেবলি নারী।
জল্লাদ বাহিনীর পদচারনা
যার চতুর্দিক ঘিরে
ক্ষুধার্ত শকুনেরা উড়ে ফেরে
যাকে ঘিরে মাংসের মোহে
সে কেবলি যুবতী শরীর।
আর কেউ নয়, কিছু নয়।
সুহৃদ পাঠক, এবার প্রস্তুত হবো
জীবন নাট্যের অন্য দৃশ্য দেখবার জন্য।
জল দর্পণে ভেসে ওঠে সেই
ফ্রক পরা কিশোরী সময়,
কী উচ্ছল চপল আর
মিষ্টিই না ছিল দিনগুলো !
ছলছল চোখে দৃষ্টির খেয়ায় ভাসান দেয়-
পুতুল খেলার সেই স্বপ্নময় দিনগুলোয়,
শঙ্খের ভেতর শোনা যায় যেমন
সমুদ্রের গর্জন।
ছোট্ট ছোট্ট আশার স্বপ্ন সৌধ রচিত করে
দাঁড় বেয়ে ভাঙছিল যখন ফেনিল ঊর্মি
ঠিক তখনি নেমে এলো
উন্মাদের মতো এক কালো রাত্রি,
বুকের ভেতর নামলো অশ্রুর ঢল !
শেষ দৃশ্যে দেখবো এবার—
কীভাবে পিশাচেরা
চোখ থেকে খুঁড়ে নিল তার হিরণ্ময় স্বপ্ন,
দগদগে ক্ষতচিহ্ন এঁকে দিল
আশার ক্যানভাসে।
যৌতুকের ছোরায় বিক্ষত হলো এক নারী।
লুট হলো তার শরীর ভরা সোনার ফসল।
অবশেষে এলো মৃত্যু।
চোখ জুড়ে শীতল ঘুম।
হায় মৃত্যু !
এরপর আর কীইবা থাকে বাকি !
কেবল আলোহীন ঠান্ডা এক
অন্ধকারের দিকে যাত্রা করে ক্রমাগত
এইসব নির্যাতিতা ক্লান্ত রমণীরা।।