উন্মাদ
উন্মাদ – শাহদাদ সাজিব
মহারানীর ছাপান্ন হাজার
বর্গমাইলেরর
কারাগারে এক বন্দি আমি।
শিকলে বাঁধা একটি পা
রক্ত লাল দুটি চোখ
অজস্র নোংরা চুল
আর বছর দুই না মাজা
বত্রিশটি দাঁত।
কয়েক বছর আগের কথা
এক অপরাহ্নে
মৃত্যু নামক নোংরা বস্তুব সাথে
যুদ্ধ করছিলেন মা।
একটি প্যারাসিটামল বা একটু বিষ
দরকার
তবেই মুক্তি মিলবে মায়ের।
ঘুরে ছিলাম সবার দ্বারে দ্বারে
সেদিন কোথাও মিলেনি
একটি প্যারাসিটামল বা একটু বিষ।
মা চলে গেলেন
মাতৃশোকে উন্মাদ হয়ে গেলাম আমি।
মহারানী,এই উন্মাদই এখন
তোর সন্তানের বুকের পাজর
চিবিয়ে খেতে চায়।
বছর দুই আগের কথা
বোনের বুকের কাপড় ছিড়ে গেছে
স্তনের বোটাঁয় বাসা বেঁধেছে
ডজন খানেক লাল পিপঁড়া।
নতুন কাপড় নয় একটু
নীল সুতা হলেই চলবে।
তবেই মুক্তি মিলবে বোনের
সেদিন সবার দ্বারে দ্বারেই
ঘুরেছিলাম
কোথাও মিলেনি একটু নীল সুতা।
পর্দা রক্ষা করতে না পেরে বোন
চলে গেলেন,
আমি সেই উন্মাদই রয়ে গেলাম।
মহারানী,এই উন্মাদই এখন
তোর বুকের নরম মাংস
চিবিয়ে খেতে চায়।