আমার শহরঃ বসন্তের প্রেম
আমার শহরঃ বসন্তের প্রেম – প্রদীপ বালা
বসন্ত তবে এসেই গেল, বুঝলে ভায়া!
একটা কুকুর শুঁকছে আমার পায়ের ধুলো
চমকে উঠে পেছনে দেখি, কি বেহায়া!
আমার হাতে আধখানা রোল, ঝুলছে নুলো
ছ’টা পঁচিশ, পেটে তখন ছুঁচোর সেকি লাফ
বসন্ত যদি এসেই থাকে তোর বাপের কি
ছুটছে সবাই বাস ধরবে ট্রেন ধরবে
উল্টোডাঙ্গার মোড়ে শুধু আমি একাকী…
কী আর হবে বসন্ত এলে,ভিক্টোরিয়া
ময়দান আর পার্কে শুধু ভীড় বাড়বে
শীতে দেখিয়ে খেত সবাই,এখন মুখ লুকোবে
ছাতার তলায়। আমারও সময়,বাস ছাড়বে।
ছিল না কি বসন্ত আমারও,একটা দুটো…
ছাতার তলায় ঘন হয়ে বসে পৃথিবীতে মুখ
উত্তাপে আর উত্তাপে তোর বুকে
ঘাম আর ঘ্রাণের ভেতর খুঁজিনি প্রেমের সুখ ?
তবুও তো প্রেম এলো না,তার বদলে
একতাল মাংস এল উঠে,চিকেন কষা
কপাৎ করে গিলে ফেলে দেখি তোকে
কোমরে বেশ মেদ জমেছে,বাসের সীটে বসা।
ধুস শালা! বাস ছুটে যায় ধুলোর বেগে
হাজার হাজার ধুলো তখন প্রেমের খেলা
খেলতে থাকে, হাতে হাত রেখে সবাই
পার হয়ে যায় রাস্তা ঘাটএই বেলা
আমিই শুধু দাঁড়িয়ে থাকি, ভীড়ের ভেতর
ছুটোছুটি যন্ত্রমানব,বসন্ত এসে গেছে
সময় এসে লাথ মারে পেছনে, “ভাগ শালা
সময় নেই প্রেম মারাতে গেছে!”
হটাত করেই বাসটা এসে গেল
আমারও তখন ঘরে ফেরার তাড়া
বাসের ধোঁয়ায় উড়িয়ে নিয়ে গেল
তোমার আমার চোখের ইশারা
সে ইশারার একটুখানি রেশ বুকের ভেতর
সযত্নে রাখি, হটাত হটাত ঠোকর মেরে ফেরে
বাসে উঠে বসন্তকে পেছনে ফেলে দেখি
আধখানা প্রেম ঝুলে আছে উল্টোডাঙ্গার মোড়ে!