অমলি বু
অমলি বু – মফিজ মহিউদ্দিন
বয়স কতই হবে, শতেক পেরিয়ে না হয় ছুঁই ছুঁই
হাতের লাঠি আর ক্যুজু-ন্যূজ দেহ বলে এক দুই-
আমাদের অমলি বু’ কথায় কুড়িতে আজো অমলিন
যেন টাস্ টাস্ বাজে বাঁশ- অন্ধ হলেও মহা দুরবীণ!
কে যায়, কে যায়, এ্যঁ শফি-মুরাদ-আওলাদ নাকি রে
দেখ ‘ত’ ভাই, লোটা আর লাঠি আামার থোয়া কৈ রে
ভাই না ভালা আয়, দিয়ে যা আমায় একটু হাত ধরে
টিপি টিপি পায় চলে হেলিয়া দুলিয়া আর পরে- মরে
বয়সকালে ছিলো এই অমলি বু’-ই সুন্দরী ঐশ্বরিয়া –
কত নাগর হয়ে যেতো আন্ধা পাগল তারে করতে বিয়া
পোলাপান, নাতি-পুতি সব থু’য়ে আছেন এখন দরবারে
না না কেউ নেই আমার, আক্ষেপে বলে বুড়ি হাফ ছেড়ে
বাবা বেলাল নূরী আমার জনম জনম আপন আমি তার
এই তোরা খালি খালি আমাকে- চেতাইসনা ‘ত’ আর !
বাবা সুরেশ্বরীর দোহাই ভুলেও আমাকে বাড়ি যেতে দিস না
এখানেই আমার মরন হয় যেন তোরা আমার লাশও নিস না
আহা! মক্কা-মদীনায় মরার এমন আকুতি ক‘জন করতে পারে
আমাদের অমলি বু’ এই বুঝি যায় যায় অচিন্তের পরপারে –
একাহারি অমলি বু’, পেশাব-পায়খানার ভয় রাত-বিরাতে
মাংস-পোলাও রুই চাইনা চাইনা তার নিরামিষ সবজি ভাতে
তবুও বিধানের খেলা কে রুখিতে পারে এই ভব দরিয়ায়
নিজেই নিজের জঞ্জাল করে সাফ তড়িঘড়ি লাজুক লতায়
কে যায় কে যায়, এ্য-ই ভাই না ভালা আমায় একটু ধর
কে নিলো লাঠি আমার, লোটাও পাইনা খুঁজে, কোথায় ঘর?
যার কোনো আশ্রয় নেই তার আশ্রয় আছে শোনো সুরেশ্বর –
জানু বাবা বলে আয়, ওরে শোনা বাছাধন, ধর ধর আমাকে ধর!