বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর উক্তি
প্রকৃতির একটা বৈশিষ্ট্য
“প্রকৃতির একটা বৈশিষ্ট্য এই যে, নির্জন স্থানে প্রকৃতির এই রূপ
মনে নতুন ধরনের অনুভূতি ও চিন্তা এনে দেয়।”
সমাজ-সচেতনতা লেখকের মস্ত গুণ
“সমাজ-সচেতনতা লেখকের মস্ত গুণ। যিনি দেশের অভাব-
অভিযোগের প্রতি উদাসীন থেকে সাহিত্য রচনা করেন, তিনি
নিজের কবিমানসের প্রতি অবিচার করেন। জীবনবোধের দায়িত্ব
তিনি কিছুতেই এড়াতে পারেন না, জনসাধারণের প্রতিঘাত-মুখর
জীবনধারা হতে বহুদূরে একটি কল্পলোক সৃষ্টি করে তিনি কল্পনাবিলাস
চরিতার্থ করতে পারেন, কিন্তু জীবনের ওপর তার কোন স্থায়ী
ফল ফলে না।”
জীবনের সার্থকতা অর্থ উপার্জনে নয়
“জীবনের সার্থকতা অর্থ উপার্জনে নয়, খ্যাতি-প্রতিপত্তিতে নয়,
লোকের মুখের সাধুবাদে নয়, ভোগে নয় — সে সার্থকতা আছে
শুধু জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার ভেতরে, বিশ্বের রহস্যকে
বুঝতে চেষ্টা করবার আনন্দের মধ্যে…”
জীবনটাকে আমরা ঠিক চোখে
“জীবনটাকে আমরা ঠিক চোখে অনেক সময় দেখতে শিখিনি বলেই
যত গোল বাধে। জীবন আত্মার একটা বিচিত্র, অপূর্ব অভিজ্ঞতা।
এর আস্বাদ শুধু এর অনুভূতিতে। সেই অনুভূতি যতই বিচিত্র হবে,
জীবন সেখানে ততই সম্পূর্ণ, ততই সার্থক। সেই দিক থেকে দেখলে
দুঃখ জীবনের বড় সম্পদ, দৈন্য বড় সম্পদ, শোক, দারিদ্র, ব্যর্থতা
বড় সম্পদ, মহৎ সম্পদ, – জীবনকে যে চিনতে পেরেছে –
এ জগতে তার ঐশ্বর্যের তুলনা নাই।”
জীবনে যদি বড় দুঃখ পাও
“জীবনে যদি বড় দুঃখ পাও, সে দুঃখ লিখে রেখে যেও উত্তরকালের
জন্য। SINCERE দুঃখের কাহিনী চিরদিন অমর থাকবে, কিন্তু তা
চিরদিন লোকের মনে বল দেবে। পূর্ণ অন্ধকার অমাবস্যার পর
শুক্লপক্ষে চাঁদ ওঠে – দুঃখের রাত্রিতেই তারা খুব উজ্জ্বল হয়।”