এক দিন সব যুদ্ধের হোক অবসান
এক দিন সব যুদ্ধের হোক অবসান – শ্যামল সোম
ড্রোনের হামলায় পাহাড়ের উপত্যকায় বিস্ফোরণ,
দূর পাল্লা ক্ষেপণ অস্ত্রের নিয়মিত আক্রমণে আক্রান্ত।
আকাশ চুম্বি বিশাল অট্টালিকা অহংকারের মিনার,
বজ্র আঁটুনি ফসকা গেঁরো, নিশ্ছিদ্র সতর্ক সৈনিকের
পাহারা পেরিয়ে আকাশ পথে আত্মঘাতী আক্রমণ শহীদের।
মানবতা সপক্ষে বর্বরচিত শিশুদের খেলার মাঠে, গ্রামে
শহরে, বন্দরে, নিরীহ মানুষের উপর সাঁড়াশি আক্রমণ
অর্থের প্রাচুর্যে এ তাদের উল্লাসে উন্মাদের যুদ্ধ বিলাস।
শিশু কিশোর কিশোরী ছাত্র ছাত্রী বিদ্যালয়ে অধ্যায়নে
যখন ছিল ব্যস্ত , খেলছিল স্কুলের প্রাঙ্গনে, ঠিক সেই মুহূর্তে
আত্মঘাতী আক্রমণ, মৃত শবের স্তূপ, ছিন্ন ভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গ।
নিরবিচ্ছিন্ন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রান্তরে ঘটে যায় বিস্ফোরণ।
বিস্ফোরণের প্রচন্ড ঐ শব্দে ঘুম ভেঙে কেঁদে ওঠে মেয়ে।
আশ্চর্যজনক ভাবে সারা পৃথিবীর সমস্ত মানুষ রয়েছেন নিরবে,
নির্বিকার ভয়ে, সন্ত্রস্ত, ভীষণভাবে আতংকিত ঐ সন্ত্রাসী হামলায়–!
এত রক্তপাত এত হত্যা, তবু কেন মানুষ আজও বোধহীন
চরম হতাশা, বিষন্নতা, বিষাদ, মানসিক অবসাদ।
স্বপ্ন দেখি একদিন রণাঙ্গন থেকে ফিরে সাহসী সৈনিক শূন্যে
গুলি ছুড়ে বলবে মৃত্যু মৃত্যু খেলার ঐ উপলব্ধি, জীবনের অভিজ্ঞতার
বার্তা দিতে গিয়ে এসো আজ সবাই হাতে হাত করি অঙ্গীকার !
যুদ্ধ থামাই; হিংসা থেকেই জন্ম দেয় প্রতিহিংসা,প্রতিনিয়ত
প্রত্যাঘাত, ও ঘাত -প্রতিঘাতে জন্ম নেয় রক্তবীজের বংশ,
প্রতিহিংসা, লক্ষ লক্ষ জন্ম নেয় সন্ত্রাসের আগামী প্রজন্ম।
শপথবাক্য করো উচ্চারণ, ” এখন সব যুদ্ধের হোক অবসান
শান্তি বর্ষিত ফুলে ফলে, শিশুদের কল্লোলে ভরে যাক পৃথিবী।