ইন্দ্রাণীকে লেখা চিঠি (প্যারোডি)
ইন্দু সোনা,
তোমার দেখা পাচ্ছি না তাই, এ চার রাতে
বুকের উপর বাজ পড়েছে আশ্বিনের।
মদের দোকান টানছে জামা, তবুও বুকে চাপিয়ে কামান
চোখ রেখেছি এক নাগাড়ে লাস্ট সিনে।
নোনতা নেশা মিষ্টি খাবার, বাজারমুখী তোমার বাবা।
হুমকি দিলে চিন্তাতে আজ ল্যাংড়া পায়ে।
ধুঁকছে, তবুও চওড়া সিনা, দুষ্টু জিনিস আর মামা না
কখন কে যে ঘুমের ভিতর খুব দাপায়।
কোমর সরু, কজি রােগা, রিনরিনে সুর দিচ্ছে স্লোগান
পাড়ার মেয়ে বাগিয়ে মুঠো আস্তিনে।
এমন কাঁচা বয়স জানে, শরীর ছাড়া প্রেমের মানে
রিসেন্ট করলে তেমন কোনো মস্তি নেই।
আকাশ ঠাসা পাখির বাসা, কাল খালি পেটে আজ আমাশয়
বুঝতে পারি তোমার আমার গল্পের
ভূতের রাজার তিনটি বরে, কোথায় খোঁচা লাগলে পরে
আগের মত চুলকানি হয় তলপেটে
চুলকেছি তাই সামলে গেছি, এদিক ওদিক লক্ষ পেঁচা
পিং করেছে নিত্য রাতের অম্বলে।
সর্বনাশা যৌবনে টান, ঘাড়ের উপর নাচছে সেটান
হাতের উপর ভরসা রেখেই কম্বলে…
কান পেতেছি, গান বেঁধেছি, নায়ক হতে বম্বে গেছি
পেটের উপর শাহরুখ খানের লাল লোগো
ডায়রি চিনে আটকেছে পেন, সাজতে গিয়ে হিংস্র লাদেন।
কপাল জোড়া তকমা পেলাম খাল দ্রোগো।
তবুও ড্রাগন উড়ছে পেটে, সুতোর টানে এই পাপেটে
দেখাচ্ছে নাচ কেরিয়ারের প্যান্ডেলে
ছোট্ট দিনের ছোট্ট আশা, অল্প প্রেমের জল পিপাসা
মিটিয়ে নেব লোকাল ট্রেনের হ্যান্ডেলে
কঠিন দুপুর, শীতল রাতে, ডিবি-র ভিতর হাড় হাভাতে
যতই হাসুক, বাস্তবে সে জিন্দা নেই।
প্রেমিক মনের ইচ্ছে লাফায়, লিখতে গিয়ে এই লিফা
বুঝতে তুমি পারছ না তাও ইন্দ্রাণী।
কলকাতা সেই হচ্ছে উধাও, গলায় ঢালা তিক্ত সুধাও
চড়াচ্ছে না, ফিরতে বাড়ি করছি লেট
তখন তুমি বাচ্চা মেয়ে, স্বপ্ন-টপ্ন দেখতে পেয়ে
আমার খালার দু-হাত চেপে ধরছে।
যতই চলুক ঝগড়াঝাঁটি, ব্লকের দাপট, এক্সকে কাঠি
এত্ত চাপে হতেই পারি কাল টেকো
পরীক্ষা তাই এই বিরহে, হামারা প্রেম অমর রহে
ইতি
তোমার আদরকামী মাল খেকো…
(মূল- রঞ্জিনীকে লেখা চিঠি, শ্রীজাত।)