অবিচ্ছেদ
অবিচ্ছেদ – কল্লোল সোম
আমি কখনোই ভেঙে যাওয়ার শব্দ বলি না
আমি জানি অতি নিশ্চিত
পাখির চৌকশ সাঁড়াশি-ঠোঁটে লটকানো
ঘাড়ভাঙ্গা পোকা
কি সমঞ্জস সুন্দর সমুচিত।
কেন না পোকা, পাখি ও আমি – এই সমবায়
সময়ের এক ও একটিমাত্র
দুর্মূল্য রৌদ্রপলে
মরে যায়, বেঁচে থাকে, দেখে যায় ঠায় ;
এই অনন্যতা,
শিকে গাঁথা তিনটি অকৃত্রিম মাংসের
আগুনের ‘পরে ঝুলন্ত একতা —
সুন্দর ও গরীয়ান দাবী করে
আমি ভেঙে যাওয়ার শব্দের
সীমাবহির্ভূত শব্দ তুলি।
এই আশ্চর্য ঐক্য, সমপাত
আন্তরিক বুঝে মুগ্ধ হয়ে আমি
অভিভূত আঙ্গুলে আদর করি আমার অর্ধনারীদেহ –
চানঘরের বায়োস্কোপে চোখ রেখে যখনই দেখি
মরে পড়ছি, বেঁচে থাকছি, এবং দেখে নিচ্ছি নিষ্পলক শিহরণে
আমার চোখে আলোর নিস্তেজ হয়ে আসা,
আমার পুষ্টির নির্দোষে আলো ফুটে ওঠা।
আমি মোটেই ভেঙে যাওয়ার শব্দ বলি না
মাংস কেটে বসা এই চরম অবিচ্ছেদ-গ্রন্থির
মেঘনীল কালশিটের শব্দহীন ছবি
আমি উচ্চারণ করে থাকি।