অচেনা গ্রহ
অচেনা গ্রহ – তাপস ঠাকুর
যাকে ভেবেছি সভ্যতা,
কেন তার বিন্দুতে বিন্দুতে
মানুষের রক্তের দাগ ?
যাকে বলছি বিশ্বায়ন,
কেন তার চোখ ভরা লোভ ?
বাজার দখলের হিংস্র ধাবায়
কেন প্রতিটি জাতি বিপন্ন প্রায় ?
পশু আর হিংস্র জানোয়ার থেকে রক্ষা পেতে,
যাকে অস্ত্র বলেছি,
সে কেন শিশুদের চোখ উপরে নেয় ?
সে কেন ধ্বংস লীলায় মাতোয়ারা সারাক্ষণ ?
যাকে নেতা বলেছি,
সে কেন পাইক পেয়াদার মত,
আমার উঠানে ঢোলে বারি দেয় ?
যাকে বিজ্ঞান বলেছি,
সে কেন অজ্ঞানের মত ভয়ানক হয় ?
যাকে ডাক্তার কিংবা উকিল বলেছি,
সে কেন ডাকাতের মত,
নিঃস্বকে আরো নিঃস্ব করে দেয় ?
এ কেমন বিশ্বাসঘাতকতা !
নিজের সাথে নিজের বিশ্বাসঘাতকতা,
এ কী বরবতা নয় ?
এ কী হিংস্রতা নয় ?
এই সবুজ গ্রহটিকে,
প্রতিটি মুহূর্তে দুষিত- অচেনা মনে হয় এখন ।
এখানে প্রতিটি জীবন এখন অনিশ্চিত ।
এ গ্রহ বাসযোগ্য নয় আর ।
এসো প্রত্যয়ী হই
এক নতুন পৃথিবী গড়ার,
যেখানে লোভ-হিংসা,
অথবা কোনরূপ কোন বিদ্বেষ নেই।
বর্ণভেদ কিংবা- নেই কোন শ্রেণী সংগ্রাম ।
ঠিক আমার স্বপ্নের কবিতার মত ।
সমতা ও শান্তির পবিত্র বিশ্বাস নিয়ে,
উড়ে যাব –চলে যাব,
সেই গ্রহে-সেই স্বপ্নে ।